মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া ::
উখিয়ার মাদার বনিয়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকালে মাদার বনিয়া এলাকায়। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদার বনিয়া এলাকার আব্দুস ছালাম ও রিদুয়ানের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আর্থিক লেনদেনের বিরোধ চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে গত শনিবার বিকালে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে রিদুয়ান ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুস ছালামকে গুরুতর জখম করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী
লোকজন এগিয়ে এসে আহত আব্দুস ছালামকে উদ্ধার করে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে আহত আব্দুস ছালামের সন্ত্রাসী ছেলে অলি উল্লাহ তার বাহিনী নিয়ে রিদুয়ানের হাত, পা, বুকে বেধে তাকে শারীরিক ভাবে অমানবিক নির্যাতন ও বেধেড়ক মারধর পূর্বক গুরুতর জখম করে অজ্ঞয়ান অবস্থায় মাটিতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাড়িঁর (ভারপ্রাপ্ত ) আইসি আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা আহত রিদুয়ানকে উদ্ধার না করে সে পুলিশ ফাড়িঁতে চলে আসে। পরে রিদুয়ানকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম হামলাকারী আব্দুস ছালামের সন্ত্রাসী ছেলে অলি উল্লাহ রিদুয়ানের দুই হাত ও বুকে রসি দিয়ে বাধাঁ অবস্থায় সে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অজ্ঞয়ান অবস্থায় গত শনিবার রাত্রে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান্। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রিদুয়ান এখনো অজ্ঞায়ান অবস্থায় রয়েছে বলে জানান। স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন, কোন ব্যাক্তি অপরাধ করলে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে, পুলিশ বাহিনী ও রয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহেদ মেম্বারের ইন্দনে পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গলী দেখিয়ে এ ধরনের ফ্লিম স্টাইলে মানুষ অত্যাচার আমরা কখনো দেখেনি। এ টা সম্পূর্ণ মানবধিকার লংঙ্গনের মত একটা জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাড়িঁর আইসি আরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা আমরা তাৎক্ষনিক মোকাবেলা করব। তিনি রিদুয়ান হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ কেন বুঝে নেব, তারা নিজের আইন নিজের হাতে তোলে নিয়েছে। তাই আমি ফাড়িঁতে চলে আসলাম। আর আমার কাছে কোন আসামী সোপর্দ করা হয়নি। ।
মাহমুদুল হক বাবুল
উখিয়া কক্সবাজার
০১৮২৬৯৮১১০৫
পাঠকের মতামত